• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
                               

‘মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় অরাজকতা, দায়ীদের বিচার হবে’

রিপোর্টারঃ / ১৬৫ বার ভিজিট
আপডেটঃ বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন এত মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ল। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর বিষয়টি যদি নিয়ম মেনে করা হত তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হত না। এখন যে সমস্যা হয়েছে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। এর জন্য যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকে তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৮-২০০১ সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। এর মধ্যে নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায়।

এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য আপাতত তেমন কোনো সুখবর নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। তিনি বলেন, আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। সেটি গত ৩১ মে শেষ হয়েছে। আমরা যে ডেটলাইন দিয়েছিলাম সেটাতেই স্থির রয়েছি। আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান হাইকমিশনার। হাইকমিশনার জানান, তার সরকার বেঁধে দেওয়া তারিখে এখনো স্থির আছে। কারণ ১৫টি দেশ থেকে যে জনবল নেওয়ার কথা এবং বেঁধে দেওয়া যে সময় তা সবার জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশের জন্য আলাদা কিছু নয়।

উল্লেখ্য, নানা অনিয়মের পর ২০২২ সালে বাংলাদেশিদের জন্য আবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে। তখন আবারও চক্র গঠন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, দেশটি আপাতত আর শ্রমিক নেবে না। যারা অনুমোদন পেয়েছেন, ভিসা পেয়েছেন, তাদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে। তবে অনুমোদন ও ভিসা পাওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি হাজার হাজার কর্মী। অনেকের সঙ্গে এজেন্সিগুলো প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ শ্রমিকের সংখ্যা সরকারি হিসাবেই ১৭ হাজারের বেশি। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (দুপুর ২:৩৭)
  • ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ২৩
  • ৫৬
  • ৫৯
  • ৬৪১
  • ১,৭১৫
  • ২৫,৩১৬
  • ৩৪,২০৭