• বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
                               

সাতক্ষীরায় ২ কোটি টাকার আমের ক্ষতি

রিপোর্টারঃ / ১৯৫ বার ভিজিট
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের আম ঝরে পড়েছে। অনেক গাছ উপড়ে গেছে। ঝরে পড়া এসব আমের কোনো ক্রেতা পাচ্ছেন না আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। কালীগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম জানান, আম, লিচুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। ঘূর্ণিঝড়ে তার ২-৩ লাখ টাকার আম ঝরে পড়েছে। সেই সঙ্গে লিচু ঝরে ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয় আরেক কৃষক জানান, রোববার রাতের ঝড়ে গাছের আম সব ঝরে গেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আমের কোনো ক্রেতা নেই। এসব আম কী করব, বুঝতে পারছি না। আম বিক্রির টাকাতেই আমাদের সারা বছর সংসারের খরচ চলে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে লিচু গাছের জন্য এক ব্যবসায়ী ৪৫ হাজার টাকা দাম বলেছিলেন, কিন্তু বিক্রি করিনি। ভেবেছিলাম আরও বেশি দামে লিচু গাছটি বিক্রি করব। তবে ঝড়ে আম ও লিচু দুটোরই ক্ষতি হয়ে গেল। এমন চিত্র জেলার সব মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ও চাষির।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আম ক্যালেন্ডারের কারণে আমের কোনো ক্ষতি হয়নি। ব্যবসায়ী, কৃষক ও বাজার কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে আম ক্যালেন্ডার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১শ জন আম চাষি রয়েছেন। সবমিলিয়ে এ বছর ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক আম পড়ে গেছে, এক্ষেত্রে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৩২২ টন আমের ক্ষতি হয়েছে। যার বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা। আম চাষিদের প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরাও চেষ্টা করছি, যাতে এ জেলার আমের সুখ্যাতি ধরে রাখতে পারি। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে মে মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালি জাতের আম সংগ্রহ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে না থাকায় কিছু আম থেকে যায়। যে কারণে ৩২২ টন নামের ক্ষতি হয়েছে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (বিকাল ৩:১১)
  • ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

Our Website Visitors Summary

  • ১৫
  • ৫৫
  • ৮৩
  • ৫৮০
  • ২,২৪৪
  • ২৬,০৭৯
  • ৩৫,৫৩৫