ইসরায়েলের অভ্যন্তরে তিন সেনা নিহতের দুই দিনের ব্যবধানে আবারও একই ধরনের রকেট হামলা হয়েছে। তবে এবার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর (আইডিএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৭ মে) গভীর রাতে রাফা এলাকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের কারাম সালেম ক্রসিং ও রেইমের বসতি লক্ষ্য করে প্রায় ১৮টি রকেট ছোঁড়া হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠে। আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা হলো। হামলাকারীরা সেনা ফাঁড়ি ও ত্রাণবাহী যানের অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। এতে ক্রসিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ ধরনের রকেট নিক্ষেপ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। (আইডিএফ) বলছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য কারাম সালেম ক্রসিং পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চলছে।
এর আগে রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়। এতে ইসরায়েলি তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। আনাদুলু এজেন্সি জানায়, এসব হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জড়িত। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের জনবসতির দিকে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে। এতে অনেক স্থানে আগুন লেগে যায়।
ইসরায়েল দাবি করে আসছে, রাফায় শরনার্থীদের আড়ালে হামাস ঘাঁটি গেড়েছে। এ অভিযোগে সেখানে প্রাথমিক স্থল অভিযান শুরু করে তারা। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ফাঁড়িতে হামাস হঠাৎ হামলা শুরু করেছে। এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফায় হামলার যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে।