সামরিক দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান ইসরায়েলে যে কোনো সময় হামলা করতে পারে- এমন শঙ্কায় নিজেদের কর্মীদের দেশটিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস বলেছে, মার্কিন কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বির শেভা এলাকা ও তেল আবিব এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানকে সতর্ক করেছেন যেন ইসরায়েলে কোনো হামলা চালানো না হয়। আর যদি সংঘাত শুরু হয় তবে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত রোববার ইরানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এখন থেকে ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো আর নিরাপদ নয়। যে কোনো একটি কনস্যুলেট ভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরান সরাসরি হামলা চালাতে পারে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ইসরায়েলে কী কারণে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে প্রকাশ করবেন না তিনি। এ সময় তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইসরায়েল যে হুমকিতে আছে, তার ওপর নজর রেখেছি।
ইসরায়েলে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্যও ভ্রমণসংক্রান্ত পরামর্শগুলোয় পরিবর্তন এনেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা জানিয়েছে, সরাসরি ইসরায়েলে হামলা করতে পারে ইরান। আর এ কারণে অঞ্চলটিতে আরও উত্তেজনা বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ( ১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ নিহত হন ১৩ জন। এ হামলার জন্য ইসরায়েল দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি। তবে, ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ হামলার জবাব দেওয়া হবে।