আগামী মাস থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যস্ততা বাড়ছে। আগামী ৫ মে থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা। যুক্তরাষ্ট্র সফরে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও ৪টি সফরে ৮ টেস্ট ৩ ওয়ানডে, ৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৭ মাসে বাংলাদেশ দল খেলবে ৮ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং অন্ততঃ ১৮টি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যস্ততাকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল পারফরমেন্স অ্যাসেজমেন্ট দেখতে চান জাতীয় দলের নতুন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলি।
তার প্রস্তাবে শনিবার সকালে রানিং টেস্টের আয়োজন করেছে বিসিবি। শনিবার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ম্যাচ না থাকায় এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। বর্তমানে যে সব ক্রিকেটার ওয়ানডে, টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির অন্ততঃ একটি ফরম্যাটে খেলছেন, তাদের সবাইকে এই রানিং টেস্টে অবতীর্ন হতে হবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সকল শুরুর স্বাক্ষী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে ক্রিকেট গুডবাই জানিয়েছে অনেক আগে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোতলায় থাকা বিসিবির পরিত্যক্ত অফিসও কিছুদিন আগে ছেড়ে দিয়েছে বিসিবি। ২০০৫ সালের জানুয়ারির পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছেড়ে দিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের হোম হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। ১৯ বছর পর সেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রানিং টেস্টের জন্য জড়ো হবেন ক্রিকেটাররা। আর্মি স্টেডিয়াম এবং বিকেএসপিতে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক থাকলেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নব নির্মিত অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাককেই রানিং টেস্টের জন্য বেছে নিয়েছে বিসিবি। প্রচণ্ড খরতাপে স্বাভাবিক রানিং যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, সেজন্য সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট হবে এই রানিং টেস্ট।