বাসে আগুন দেওয়া দুর্বৃত্ত ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ কঠোর প্রয়োগ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে এবং বাসে আগুন দেওয়া দুর্বৃত্তদের ধরতে এখন থেকে আরও কিছু নতুন পদ্ধতি চালু করবে ডিএমপি। রোববার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন এসব কথা বলেন।
ডিএমপির সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্যেও এরইমধ্যে প্রায় ৭০টি গাড়িতে কীভাবে আগুন দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা বলতে আসলে পৃথিবীতে কিছুই নেই। চোরাগোপ্তা হামলা কিংবা ছদ্মবেশে যাত্রীবাহী বাসে আগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং। সমকালীন সময়ে আমরা যার কিছু নমুনা দেখছি। তারপরেও ঢাকা মহানগর পুলিশ যত ধরনের নিরাপত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় সেটি কিন্তু আমরা করছি।
কিন্তু যারা এ ধরনের চোরাগোপ্তা নাশকতা করছে, তারাও কিন্তু তাদের স্থান ও সময় পরিবর্তন করছে। তারা যে জিনিস দিয়ে নাশকতা করছে সেগুলোরও পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। এখন যারা যাত্রী বেশে চোরাগোপ্তা হামলা কিংবা নাশকতা করছে সেটি শতভাগ নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের চেষ্টা আছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নাশকতা প্রতিরোধে আমরা আরও কিছু পদ্ধতি আজ থেকে নতুন করে শুরু করব। যাতে করে বাসে যাত্রীবেশে নাশকতাকারীদের আসাটা আরও কঠিন হয়। আরও কিছু কাজ আমরা করব সেগুলো এখন বলতে চাইছি না। কারণ নাশকতাকারীদের কাউন্টার ব্যবহার করতে চাই। এসব নির্মম নিষ্ঠুর কাজের জন্য দেশের প্রচলিত আইন খুবই কঠোর। নাশকতাকারীরা যদি এসব বন্ধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
আইনের কঠোর প্রয়োগটা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তির কঠোরতা নয়, আইনের মধ্যে থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য যেসব আইন দেশে আছে সেসব আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। কোনো কিছুই আমরা আইনের বাইরে করিনি। দেশের প্রচলিত আইনেই বলা হয়েছে, কখন কোন পদক্ষেপটি আইনসম্মত।’
চতুর্থ দফা অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধে ডিএমপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত কী নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের সর্বোচ্চ কঠোর প্রয়োগ করব। যদি কেউ কোনোভাবে নাশকতা করতে চায় বা জীবন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায় তাদেরকে ধরা হবে ও আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। আমরা নাশকতা রোধে যাই কিছু করব তা আইনের মধ্যে থেকে।’
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৬টি অস্ত্র খোয়া যায়, সেগুলো উদ্ধার হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আরও সময় লাগবে। তবে অগ্রগতি আছে।