নিউমোনিয়া এখনও বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর প্রধান সংক্রামক কারণ। যার ফলে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৭ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়। দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআরবি’তে শিশুদের নিউমোনিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইসিডিডিআরবি’র চিকিৎসক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতী নিউমোনিয়ার প্রতিরোধমূলক কৌশল তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ঘরের মধ্যে বাতাসের গুণগতমান উন্নত করার মাধ্যমে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, হাত ধোয়ার অভ্যাস ২১ শতাংশ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী, গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিরল গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া শৈশবকালীন নিউমোনিয়ার নতুন কারণ হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে।
২০০৭ ও ২০২০ সালে আইসিডিডিআরবি’র ভ্যাকসিন নিয়ে করা গবেষণায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী হতে পারে এমন একটি টিকা নিয়ে আলোকপাত করেন চিকিৎসকরা। বলেন, গর্ভবতী মহিলাদের আরএসভি ভ্যাকসিন দেয়া হলে তা নবজাতক শিশুদের গুরুতর নিউমোনিয়া ও হাইপোক্সেমিয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চিকিৎসকরা বলেন, সাধারণত নিউমোনিয়া রোগের শুরুতে কাশি হয়। যা সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অল্পবয়সী, প্রবীণ এবং যাদের হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, তাদের গুরুতর নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এমন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।