সাতক্ষীরা সদরের ভোমরায় তুচ্ছ ঘটনায় এক গৃহবধুকে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ করেছে ভোমরা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলাউদ্দীন গাজী বলেন, গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের মৃত নূরু গাজীর ছেলে মজিদ গাজী, মজিদ গাজীর স্ত্রী মোছা. মাছুরা খাতুন সন্ধ্যায় হঠাৎ আমার বাড়ির গেটে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে আচমকা মারধর শুরু করে। আমি বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রীকে একা পেয়ে দারুনভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে আস্ফালন করতে থাকে। পরে আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আমি সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করি। সেখানে আমার স্ত্রী এখনও চিকিৎসাধীন। উলে-খিত ব্যক্তিরা এলাকায় অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির লোক। তাদের ভয়ে এলাকার কোন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা অর্থের বলে এলাকার কোন মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না। উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরো বলনে, উলে¬খিত মাছুরা খাতুন একজন হিংস্র ও অসৎ প্রকৃতির মহিলা। সামান্য কারণে এলাকার যে কোন মানুষের উপরে চড়াও হয়, অর্থের দাপটে যে কোন মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না। বর্তমানে আমি তাদের ভয়ে চরম আতংকে দিনাতিপাত করিতেছি। তারা যে কোন সময়ে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের ক্ষতিসাধন করিতে পারে। আমি তাদের থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি।