প্রথম দিনে ১৩টি বগিতে ৮৬০ জন যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। নতুন রুটে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় কম লাগবে অন্তত ২ ঘণ্টা। এতে খুশি যাত্রীরা। যদিও এর আগে ট্রেনটি অনেক পথ ঘুরে যমুনা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসা করতো। বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর রাত ৯টা ৪৫মিনিটে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ট্রেনটি। ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে।
জানা গেছে, দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জাংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জাংশন হয়ে ঢাকা যাবে ট্রেনটি। টাঙ্গাইল সিরাজগঞ্জ হয়ে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পরিবর্তে নতুন রুট পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়ায় পথ কমেছে ২০০ কিলোমিটার। এতে সময়ও কমেছে ২ ঘণ্টা। কমেছে টিকিটের মূল্যও।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, খুলনা থেকে ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি। যাত্রাপথে অন্যান্য স্টেশন থেকে আরও যাত্রী উঠবে। সপ্তাহে মঙ্গলবার ব্যতীত ছয়দিনই যাত্রা করবে ট্রেনটি। প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে খুলনা থেকে যাত্রা করে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকায়। ফের সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ৩টা ৪৫মিনিটে পৌঁছাবে খুলনায়। নতুন এই রুটে সময় কম লাগবে অন্তত ২ ঘণ্টা। এদিকে খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া (ভ্যাট ছাড়া) ধরা হয়েছে- শোভন চেয়ার শ্রেণি ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণি ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণি ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণি ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণি ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১৪৯৫ টাকা।