ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীতে মহাসমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তিনি বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত দুই দলের পছন্দের ভেন্যুতেই অভিন্ন শর্তস্বাপেক্ষে সমাবেশের অনুমোদন দেয়া হতে পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড় দুটি দল তাদের কর্মূসচি কীভাবে, কখন, কোথায় করতে চায়- তা পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুলিশের কাছে দেওয়া দুই দলের চিঠি ইতিবাচকভাবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দিতে সমস্যা নেই। তবে এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তা হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো লিখিতভাবে কোনো দলকে অনুমতি দেয়া হয়নি। শুক্রবার সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ঢাকার প্রবেশমুখে প্রত্যেকটা জায়গায় চেকপোস্ট বসবে ও তল্লাশি করা হবে।
একই দিন মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছিল জামায়াত। কিন্তু দলটিকে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে মাঠে নামতে দিতে রাজি নয় পুলিশ।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি বলছে, দেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এ কারণে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় দলটি।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধানের ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নেই।