বিচারপতি ব্যারিস্টার শেখ হাসান আরিফ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সদিচ্ছা ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। শুধু আইনের কঠোরতা দিয়ে কিশোর গ্যাং সংকট উত্তরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।এর নেপথ্যে মদদ-দাতাদের চিহ্নিত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সাথে সাথে ঢাকাসহ সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান রোধে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যুগপৎ ভূমিকা পালন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে আধুনিক শিশু-কিশোরবান্ধব সংশোধন বা কারেকশন ব্যবস্থা। গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে এর কারণ চিহ্নিত করে তা নির্মূলের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ শনিবার ঢাকা মহানগরীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক্সেস টু জাস্টিস প্রোগ্রামের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ।
বিচারপতি ব্যারিস্টার শেখ হাসান আরিফ আরো বলেন, ‘খারাপ সংবাদ যেভাবে প্রচার পায়, ভালো সংবাদ সেভাবে প্রচার হয় না। টিকটক, সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক নজরদারীর দায়িত্ব বিটিআরসির। তারা তা করছে না। রাজনৈতিক উঠতি নেতা পাতি নেতারা টাকা পয়সা দিয়ে কিশোরদের ব্যবহার করে নিজের জনপ্রিয়তা ও পাওয়ার দেখানোর জন্য। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশ, বিচারক, প্রশাসন, মিডিয়া কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিএইচআরএফ চেয়ারপারসন মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএইচআরএফ মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের শিক্ষক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিসের পরিচালক প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন।