অত্যাধুনিক আকাশ সেবার যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন করা হলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নব নির্মিত টার্মিনালে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দৃষ্টিনন্দন টার্মিনালের ইমিগ্রেশন কাউন্টার, সিকিউরিটি গেট, মুভিং ওয়াকওয়ে (স্ট্রেট এসকেলেটর) পরিদর্শন করেন। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় টার্মিনালের প্রাথমিক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি জানান, হংকং, ব্যাংকক ও দুবাইয়ের পর বাংলাদেশ হবে আঞ্চলিক বিমান পরিবহনের হাব।
ভবিষ্যতে আরও একটি রানওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অতীতে এভিয়েশন খাতে উন্নয়নের এতো পদক্ষেপ আর কোনো সরকার নেয়নি। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলেই তৈরি শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। নকশাও করেছেন চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকারক রোহানি বাহরিন। যাত্রীদের জন্য রয়েছে একসাথে এক হাজার ২৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। লাগেজ ব্যবস্থাপনাসহ পুরো ইমিগ্রেশন সিস্টেম চলবে আধুনিক সফটওয়্যারে।
নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে বিমানবন্দরের সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। কর্তৃপক্ষ বলছে বর্তমানের দুটি টার্মিনালে ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেয়া যাচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে তা আরও ১ কোটি ৬০ লাখ বৃদ্ধি পাবে। এটি যাত্রীদের জন্য এটি উন্মুক্ত হবে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এয়ারবাস A380 এর ব্যবহার উপযোগী দুইটিসহ মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তৃতীয় টার্মিনালে। টার্মিনালে যাত্রীদের হাটার কষ্ট দূর করবে চলন্ত হাটার পথ। দীর্ঘ লাইনের কষ্ট এড়াতে থাকছে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার ও ৬৪টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার। লাগেজ টানার জন্য থাকবে ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট।