মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা” শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার দিবসটি পালন করা হয়। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এনপিও এর মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে নবীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতার ৫০ বছরে সেই রাষ্ট্রটি বিশ্বে “উন্নয়নের বিস্ময়” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলার। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে স্বপ্ন আজ সত্যি হতে চলেছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। আর্থসামাজিক সূচকগুলো প্রমাণ করছে বাংলাদেশ আজ এই উপমহাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বহির্বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নমুখী নীতিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের চিন্তার জগত, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শিল্প বিপ্লবের ব্যাপকতা, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে মন্ত্রী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।