বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইটি কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে স্টাফার বলেন, কর্মকর্তারা আইন প্রণেতাদের বলেছেন ১০টি বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০ হাজার ইমেইল হ্যাকিং হয়েছে।
যদিও ব্রিফিংয়ে ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে কর্মরত। এই বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি।
পরে রয়টার্সকে স্টাফার বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের সাইবার হামলা ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে। এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে চীন ভিত্তিক হ্যাকাররা হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাসহ প্রায় ২৫টি সংস্থার ইমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস পেয়েছে বলে দাবি করেছিল প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট জানায়, চীন ভিত্তিক হ্যাকাররা স্ট্রোম-০৫৫৮ (ডিজিটাল প্রমাণীকরণ টোকেন) টোকেন জাল করে এর মাধ্যমে ইমেইলগুলোর অ্যাক্সেস পেয়েছিল। টোকেনগুলো সাধারণত একজন ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়। সংস্থাটি বলেছে, তাদের তদন্তে দেখা গেছে, এই আক্রমণ মে মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছিল।
এর আগে, মে মাসে মাইক্রোসফ্ট এবং পশ্চিমা গুপ্তচর সংস্থাগুলো বলেছিল, চীনা হ্যাকাররা গুয়ামে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণের জন্য ম্যালওয়্যার ব্যবহার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা।