‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ পাস হয়নি। এ সংক্রান্ত কোনও গেজেটও প্রকাশিত হয়নি। এ সংক্রান্ত আইন পাস এবং গেজেট প্রকাশিত হওয়ার খবরটি গুজব বলে জানিয়েছে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘ভূমি অপরাধ আইন বিষয়ক ভুয়া খবর বা গুজব’ প্রসঙ্গে জারি করা সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন পাস হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে’ বলে একটি ভুয়া খবর বা গুজব সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি একটি ‘ভুয়া গেজেট’ অনলাইন মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। এই ধরনের ভুয়া খবর বা গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা মোটেও কাম্য নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’
এতে আরও বলা হয়, ‘‘প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রস্তুত ও অনুমোদন সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’’ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের। আইন প্রণয়নের ঘটনা জাতীয় জীবনে উল্লেখযোগ্য সংবাদ, যা সাধারণত দেশের সব ধরনের জাতীয় গণমাধ্যমে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। এছাড়া নতুন আইন প্রণয়নের পর তা সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সব সরকারি পোর্টালে প্রকাশ করা হয় বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
হেল্পলাইন ১৬১২২ (বিদেশ থেকে +৮৮০ ৯৬১২৩ ১৬১২২) নম্বরে কল করে, কিংবা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস পেজ ‘ভূমিসেবা ফেসবুক পেজে কমেন্ট করে কিংবা মেসেজ (বার্তা) পাঠিয়ে ভূমিসংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে, ভূমিসেবা গ্রহণ করা যাবে এবং ভূমিবিষয়ক অভিযোগ জানানো যাবে বলেও জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া খবর বা গুজব ইন্টারনেটে কিংবা অন্য কোনও মাধ্যমে প্রচার করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও উল্লেখ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।