• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
                               

নয়াদিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠক অনুষ্ঠিত

রিপোর্টারঃ / ৩৪৬ বার ভিজিট
আপডেটঃ শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নয়াদিল্লির ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক চলে। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করার কথা ছিল। নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। তাই এ বৈঠক নিয়ে দুই দেশেই যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এর আগে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলন শুরুর একদিন আগে ভারত পৌঁছে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এ বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাসহ জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো প্রাধান্য পাওয়ার কথা ছিলো বলে ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে দুদেশের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময় চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনপিসিআইর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। ভারতের এনপিসিআই ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হলে দুপক্ষের মধ্যে নেটওয়ার্ক-টু-নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে রুপি-টাকায় পারস্পরিক লেনদেনের কাজ সহজ হবে। এ ছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিদ্যুৎ ও রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন হতে পারে বলে জানান তিনি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এখন আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ও বাণিজ্যের বড় কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া কানেকটিভিটি, সমুদ্র অর্থনীতি ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতেও ঢাকাকে দিল্লি পাশে চায় বলে আলোচনা রয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় জানান, শুক্রবার তিনি তাঁর বাসভবনে তিনটি বৈঠক করবেন। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বাসভবনে বৈঠক হবে। তার ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, এই দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা এবং উন্নয়নমূলক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার সুযোগ দেবে বৈঠকগুলো। শনিবার সকাল থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশকেই ওই সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যান।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (সকাল ৭:৫৫)
  • ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ৬৭
  • ১৯
  • ১২৩
  • ৬২১
  • ১,৭৬০
  • ২৫,৩৩৯
  • ৩৪,২৯৩