ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (সরকার পক্ষের আইনজীবী) এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (সরকার পক্ষের আইনজীবী) এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে বনখাস্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়া শুরু বলে প্রথম সংবাদ পরিবেশন করে বাংলা ইনসাইডার।
এর আগে মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবারই আইন মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে সলিসিটর উইংকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সলিসিটর কার্যালয়।
সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অবস্থান নেয়ার অভিযোগ আনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে। উনার বিচার স্থগিতে ১৭৬ বিশ্বনেতার বিবৃতির সঙ্গে আমি একমত। আমি মনে করি তার সম্মানহানি এবং বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।’
শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ কয়েকটি অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ১৬৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার বিচার চলছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। তার পক্ষে বিদেশের বিশিষ্টজনেরা অবস্থান নিয়েছেন এবং এটাকে হয়রানি বলছেন। তবে সরকার সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা বিদেশিদের অবস্থানের বিরোধিতা করছেন এবং তারা বিবৃতিও দিয়েছেন।