অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতির কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। অন্য কোনো পক্ষকে খুশি করার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এটা বলেছেন। নিশ্চয়ই এখানে তার কোনো উদ্দেশ্যে ছিল। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যদি তাকে কেউ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বলত, তার তো উচিত ছিল অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমাকে জিজ্ঞেস করা। কিন্তু সে আমার সঙ্গে কোনো কথাই বলেনি। গতকাল ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু কোর্ট প্যান্ট পরে সরাসরি সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেছেন। এখানে নিশ্চয় তার কোনো উদ্দেশ্য আছে।’
ডিএজি এমরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সলিসিটর উইংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি তাকে সই করতে বলিনি। আমি কোনো আইন কর্মকর্তাকে বলি না যে, আপনি এটা বা ওটাতে সই করেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আমাদের অফিস থেকে কোনো বিবৃতি তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, আমি নিজে প্রথম দিনই বলে দিয়েছি তারা (বিশ্বনেতারা) যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা সঠিক হয়নি। কারণ তারা তথ্যটা জানতেন না। আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে দুবার ড. ইউনূসের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারপর ওখানে (শ্রম আদালতে) শুনানি করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত যদি বলেন, শুনানি করতে হবে, তখন প্রশাসনিক আদেশে এটি কি প্রত্যাহার করা যায়?
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা এটি জানতেন না। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এটি বলার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সই করার দরকার আছে? প্রয়োজন আছে? অ্যাটর্নি জেনারেল বলা মানে এ অফিস বলা। তাকে তো বলতে বলা হয়নি। আমি বলিনি। আমার অফিস থেকে এটি (পাল্টা বিবৃতি) প্রস্তুত করার কোনো প্রশ্নই আসেই না। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, তার যদি মনে হয়, কেউ তাকে সই করতে বলেছেন, তাহলে তিনি তো আমার কাছে জানতে পারতেন যে, আমি এটি বলেছি কি না। তিনি তো সেটা জানতে চাননি। আমাকে জিজ্ঞেস না করে কীভাবে জানলেন এটি অফিস থেকে বলা হয়েছে?
তিনি বলেন, গতকাল তার ছুটি ছিল। তিনি স্যুট-টাই পরে কার্যালয়ে আসেননি, সাংবাদিকদের সঙ্গে যেখানে রেগুলার ব্রিফিং করা হয়, সেখানে গিয়েছেন। সেখানে কতগুলো কথা বললেন। তিনি কী কারণে বললেন? কোন উদ্দেশ্যে বললেন? দেখুন, আপনারা খুঁজে দেখুন, কাকে খুশি করার জন্য এই কথাগুলো বললেন। এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল পাল্টা প্রশ্ন করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার কোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে? আমি নিজে করি হোয়াটসঅ্যাপ? উনি তো আমাকে বলতে পারতেন। আমি তো বললাম, তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। আপনারা খোঁজ নেন। নিশ্চিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তিনি এটি করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ডিএজি এমরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নই। আমি তো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নই।