ম্যাচ শেষ হতে অল্প সময় বাকি। ঠিক তখনই উৎসব করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সিনসিনাটির খেলোয়াড়রা। তবে তাদেরকে সে সুযোগ দিলেন না লিওনেল মেসি। দেন অসাধারণ এক থ্রু পাস। জায়গায় দাঁড়িয়ে কেবল দিক বদলে দেন লিওনার্দো কাম্পানা। ম্যাচে ফেরে ইন্টার মিয়ামি। এরপর অতিরিক্ত সময়েও দুই দল একটি করে গোল করলে টাই-ব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে সিনসিনাটিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে মেসির দল।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকালে সিনসিনাটির ঘরের মাঠে টাই-ব্রেকারে ৫-৪ গোলে জেতে মিয়ামি। এরআগে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে সমতা ছিল। মিয়ামিকে ফাইনালে তুলতে বৃহস্পতিবার গোলের দেখা পাননি মেসি। তবে ম্যাচ জয়ের মূল নায়ক ছিলেন তিনি। দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর নিজেদের করা দুটি গোলের মূল কারিগর অধিনায়ক। দুটি অসাধারণ ক্রসে কাম্পানাকে দিয়ে গোল করিয়ে মায়ামিকে ম্যাচে ফেরান তিনি। এরপর অতিরিক্ত সময়ে সমান তালে লড়লে টাই-ব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাই-ব্রেকারে প্রথম চারটি শটে গোল পায় দুই দলই। পঞ্চম শটে এসে মিস করেন সিনসিনাটির নিক হ্যাগলান্ড। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে তার শট আটকে দেন মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। শেষ শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি বেঞ্জামিন ক্রেমাস্কির। উল্লাসে মাতে মায়ামি।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার ১৮তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মিয়ামি। অ্যারন বোপেন্ডজার বাড়ানো বলে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করে সিনসিনাটির আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লুসিয়ানো আকস্তা । প্রথমার্ধে এই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধেরও প্রায় শুরুতেও আবার গোল পায় সিনসিনাটি। আট মিনিট যেতেই সান্তিয়াগো আরিয়াসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত এক কোণাকোণি শটে বল জালে পাঠান ব্রান্ডন ভাজকেজ।
৬৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় মিয়ামি। মেসির নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লিওনার্দো কাম্পানা। আর ম্যাচের যোগ সময়ের আট মিনিটেও প্রায় একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি। তবে এবার ওপেন প্লে থেকে ক্রস করেন মেসি। ফাঁকায় থেকে নিখুঁত হেডে বল জালে পাঠান কাম্পানা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় মিয়ামি। জর্দি আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকতে থাকা বদলি খেলোয়াড় জোসেফ মার্তিনেজের দিকে বল বাড়ান বেঞ্জামিন ক্রেমাস্কি। ডান প্রান্তে বল পেয়ে কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি খেলোয়াড় ব্রেট হেসলির কাটব্যাক মায়ামির এক ডিফেন্ডার ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান বদলি খেলোয়াড় ইয়াইয়া কুবো। ডান পায়ের বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। যে কারণে ম্যাচ শেষ হয় ড্রয়ে। তবে টাইব্রেকারে ঠিকই জিতে উৎসবে মাতে মিয়ামি।