• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
                               

‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের জন্য মঙ্গল’

রিপোর্টারঃ / ৩৫২ বার ভিজিট
আপডেটঃ সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের জন্য মঙ্গল’
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের জন্য মঙ্গল’

শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে জরুরি। শেখ হাসিনা হচ্ছে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীকে যদি রাখা যায়, পুরো অঞ্চলের জন্য, আমাদের জন্য; ভারত, নেপাল ও ভুটান প্রত্যেকের জন্য মঙ্গল হবে। সোমবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি আবারও বিএনপি-জামায়াতের মতো সরকার আসে। ২০০১ থেকে ২০০৬ আমরা দেখেছি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জিহাদি। এগুলো তো প্রমোট হয়েছে। দেশটা তখন রসাতলে গেছে। আফগানিস্তানে ২৯ মিলিয়ন লোক। ওখানে জিহাদি হয়েছে। দুনিয়াকে কাঁপিয়েছে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করছে। এখানে ১৭০ মিলিয়ন লোক, এখানে দেশে যদি এ রকম জিহাদি হয় সারা অঞ্চলের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বাঙালিদের ১২টা বাজবে তখন। এই যে সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতেছেন, ওগুলো তখন ভুলে যাবেন। তখন আফগানিস্তানের মতো কষ্টে থাকবেন।

এসময় জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরকারপ্রধানের বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভবনা আছে। এখনও সময় চূড়ান্ত হয়নি। হেড অফ গভর্নমেন্টের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত শেষ মিনিটে দেয়। শেখ হাসিনা-জিনপিংয়ের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আলোচনার শেষ নেই। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট সই করেছি, চুক্তিপত্রে সই করেছি, প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের সই। আর প্রাইভেটে ১৩ মিলিয়ন। তার থেকে আট বছরে চার বিলিয়ন এ পর্যন্ত পেয়েছি, সেগুলো যেন ত্বরান্বিত হয়; সেটা আলোচনা হতে পারে। এগুলো একটা গুরত্বপূর্ণ ইস্যু।

তিনি বলেন, আমরা ঋণের সুদের হার কম চাই। এটার ওপর আলোচনা হবে। দুনিয়াব্যাপী তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। আমরা বলব, সস্তায় বিবেচনা করলে ভালো হয়। জলবায়ু ইস্যু থাকবে, আমাদের নিয়মিত অভিবাসন থাকে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চাই। বাণিজ্য বাড়াতে চাই। চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অনেকে ছাড় দিয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, চায়না বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমাদের অনেক ছাড় দিয়েছে। তবুও বাণিজ্য একপেশে হয়ে গেছে। আমরা বলব বাণিজ্য আরও বাড়াও, বিনিয়োগ কর। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের বার্তা দিচ্ছে। ঢাকা-বেইজিংয়ের সরকারপ্রধানের আলোচনায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি থাকছে কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদেরও কনসার্ন। পুরো অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। আমি যেখানে যাই এটা বলি। আমি বৈঠকে থাকলে এই বার্তা দেব।

চীনের নেতৃত্বাধীন রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের পণ্ডিতরা, যারা এসব নিয়ে স্টাডি করে তারা বলছেন, আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। কিন্তু আমরা এখনও আলাপ করিনি। আমরা এখনও এটাতে সম্মতি দেইনি, সই করিনি। তিনি বলেন, ছোটখাটো ইস্যু নিয়ে শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের বেসিক পলিসি শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমি খুব খুশি ভারতবর্ষ অত্যন্ত পণ্ডিত অত্যন্ত পরিপক্ব, তারাও এটা মনে করে। শুধু ভারতের জন্য না সারা অঞ্চলের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার বৈঠক হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে আলোচনার জন্য রাজি হয়েছেন। এখানে মোদি সময় নষ্ট করা ঠিক হবে কি না, দেখা তো হবেই।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (রাত ১২:০০)
  • ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

Our Website Visitors Summary

  • ২১
  • ৭২
  • ৫২৫
  • ২,২৬৮
  • ২৬,১০৮
  • ৩৫,৬৩২