গতকাল রোববার ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার গোলা হামলায় এক নবজাতক মারা গেছে। নবজাতক ছাড়াও ওই হামলায় নবজাতকের পরিবারের আরও তিন সদস্যসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরেকটি শিশু রয়েছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা গতকাল এসব দাবি করেছেন।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লিমেঙ্কো এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, খেরসন অঞ্চলে শিরোকা বালকা গ্রামে তিন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুই শিশু নিহত হয়েছে। তিনি কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন যেগুলো গোলা হামলার পর তোলা হয়েছিল। একটি ছবিতে দেখা গেছে একটি বাড়ির ওপর কালো ধোঁয়া উড়ছে।
ক্লিমেঙ্কো আরও জানান, শত্রুপক্ষের এই ছোড়া গোলার আঘাতে স্বামী-স্ত্রীসহ তাঁদের ২৩ দিন বয়সী কন্যা সন্তান নিহত হয়েছে। আলাদা এক বিবৃতিতে ক্লিমেঙ্কো বলেন, ওই দম্পতির ১২ বছর বয়সী ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেও মারা যায়। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, স্তানিসলাভ গ্রামে ৫৭ এবং ৭১ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি খ্রিষ্টান ধর্মযাজক। ক্লিমেঙ্কো আক্ষেপ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের থামাতে হবে। শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাদের থামাতে হবে।
খেরসনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। তারা এ ধরনের যুদ্ধাপরাধকে অমার্জনীয় বলেছে। অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে ফ্রান্স বলে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছিলেন, তার মধ্যে খেরসন একটি। গত বছরের শেষের দিকে খেরসন শহর থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে মস্কো এখনো সেখানে হামলা চালিয়ে থাকে।
এদিকে রুশপন্থী কর্মকর্তারা বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কে জাইতসেভো বসতিতে ইউক্রেনের গোলা হামলার কারণে এক বেসামরিক নিহত হয়েছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, একই অঞ্চলের সেভেরনি বসতিতে হামলার ঘটনায় এক পুরুষ নিহত ও এক নারী আহত হয়েছেন।