মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম ওই রায় ঘোষনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী আশাশুনি উপজেলার বৈরমপুর গ্রামের কালাম গাজীর ছেলে মিলন গাজী (৩৩)। মামলার বিবরণে জানাযায়, বাদীর কন্যা (১৪) বৈরমপুর গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে আসামী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বাদীর কন্যা উক্ত প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করার পরও আসামী তার পিছু ছড়েনা। একপর্যায়ে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামী বাদীর কন্যাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাড়ীর পাশের পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করার ফলে এক সময় সে অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে আসামীকে এলাকাবাসী বাদীনীর কন্যাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও আসামী বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালী সময়ে ভিকটিমের গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় এবং ডিএনএ পরীক্ষায় আসামীর সন্তান মর্মে প্রমাণও হয়। রাষ্ট্র পক্ষ হতে আদালতে ৫ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। আদালত সাক্ষীদের জেরা-জবানবন্দী ও নথি পর্যালোচনা করে গতকাল প্রকাশ্য আদালতে উপরোল্লিখিত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি জহুরুল হায়দার বাবু। রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক ছিলেন।