১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ করছেন ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এন্ড পার্সহাউজ’র মো. আশরাফ হোসেন। শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের কূলতলী এলাকায় নির্মাণাধীন এ রাস্তাটি নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান’র নির্দেশে নায়েব রেজাউল করিম বালু উত্তোলন বন্ধ করতে যান। এসময় নায়েবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সফিকুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমাসহ স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী চড়াও হয়ে ওঠে। একপর্যায় বালু উত্তোলনের স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয় নায়েব রেজাউল করিম। এ খবরে সুশীল সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগরের নুরনগর ইউনিয়নের কূলতলী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর এলাকার পেশাদার বালু উত্তোলনকারী রনি নামের এক ব্যক্তি। তাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু ও মারুফ হোসেন মিলন। শ্যামনগর ভূমি অফিসের তহসিলদার রেজাউল করিম জানান, ‘এসিলান্ড স্যারের নির্দেশে আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করতে যাই, বালু উত্তোলনকারীদের নির্দেশে স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দ্বারা আমার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে আমি এসিলান্ড স্যারকে জানিয়ে চলে আসি।’
শ্যামনগর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে আমি নায়েবকে ঘটনাস্থলে পাঠাই, নায়েব সেখানে যেয়ে ওদের বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন কে বা কারা নায়েবদের উপর হামলা উদ্দেশ্যে চড়াও হয়। বিষয়টি জানতে নায়েবকে ফোন দিই, তখন নায়েব জানান যে, ‘বালুব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বাবুসহ অন্যান্যদের ইন্ধনে তাদের উপরে চড়া হচ্ছে। ঘটনা আমি জানতে পেরে নায়েবসহ অন্যদেরকে চলে আসতে বলি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানান উনি স্পটে যাচ্ছেন, উনি স্পটে গিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমাদের এখানে অবৈধভাবে কেউ বালি উত্তলনের চেষ্টা করলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’