পিরোজপুরের কাউখালীতে পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। ৬০ টাকার কমে কোনো সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। যতই দিন যাচ্ছে সবজি, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। রোববার (১৪) জুলাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ৪০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, করলা ১৩০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর গাটি ৮০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আটি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
দক্ষিণ বাজারের সবজি বিক্রিতা গোলাম রসুল ও উত্তর বাজারের সবজি বিক্রিতা কাবুল হোসেন বলেন, সবজির বাজার স্থিতিশীল নয়। বন্যা ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টিতে সবজির ক্ষেতে ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে তেমন কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বিধায় বাজারে সবজির দাম বেশি। আমাদের বেশি দামে মোকাম থেকে কিনতে হয়। ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। দিনমজুর শুকুর আলী ও শ্যামল বড়াল আক্ষেপ করে বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই মাছ-মাংস কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। খেতাম একটু সবজি তাও এখন আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না। সবজি দিয়ে ভাত খাব তার উপায় নেই।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করব। যদি কোনো অসাদু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যমূল্যর বাড়িয়ে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।