• বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
                               

৫ হাজার রুপিতে এমপি আনারকে ৮০ টুকরো করে জিহাদ

রিপোর্টারঃ / ২১৮ বার ভিজিট
আপডেটঃ শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ। আর এই কাজের বিনিময়ে ৫ হাজার রুপি পেয়েছে সে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ এসব কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমস। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, লাশের টুকরোগুলো যেহেতু জলাশয়ে ফেলা হয়েছে তাই সব অংশ উদ্ধার করা কঠিন। পুলিশের গোয়েন্দাসূত্র বলছে, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিহাদ জানিয়েছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকারীদের নজরে এসেছেন বাংলাদেশের বাসিন্দা সেলেস্তা রহমান নামে এক তরুণী। খুনের দিন সম্ভবত তিনিই আনোয়ারুলকে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেলেস্তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ঢাকা পুলিশ। গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১৩ তারিখ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন সাংসদ। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভারতের পুলিশ জানতে পারে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশেও তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার হয় কসাই জিহাদ ও সিয়াম। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করতেন জিহাদ।

জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আনোয়ারুলকে খুন করার পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল তারা। কিন্তু ধরা পড়ে গেছে। খুনের পর সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করে ভাঙড়ের জলাশয়ে ফেলা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে সে। লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলাশয়ে তল্লাশি চলছে। তবে এখনও কিছুই উদ্ধার হয়নি। ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সিয়াম ও জিহাদ জানিয়েছেন, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয় আনোয়ারুলকে এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী বস্তু দিয়ে সাংসদের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তার পর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। খুনের পর হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে দেহের টুকরোগুলো নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়।

তদন্তে উঠে এসেছে, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন নামে বাংলাদেশর এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে আনোয়ারুলের বন্ধুত্ব ছিল। আর ওই তরুণীও শাহীনের পরিচিত। ২০০ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে নিয়ে সাংসদের সঙ্গে শাহিনের বিরোধ ছিল।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • বুধবার (রাত ১১:২৭)
  • ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

Our Website Visitors Summary

  • ৭৯
  • ৫২১
  • ২,১৮৫
  • ২৬,০২০
  • ৩৫,৪৭৬