ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সপ্তম সাঁজোয়া ব্রিগেড এবং গোলানি কামান ব্রিগেড হামাসের কয়েকটি সরকারি ভবন ও পার্লামেন্ট দখল করেছে। গাজা সিটির শেখ ইজলিন এবং রিমালে অবস্থিত এসব ভবন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে তারা। দখল করা ভবনের মধ্যে রয়েছে হামাসের পার্লামেন্ট, সরকারি কমপ্লেক্স এবং রাজনৈতিক সদর দপ্তর।
সেনারা জানিয়েছে, গাজার গর্ভনর হাউজও দখল করেছে তারা। এই ভবনে হামাস সরকারের পুলিশ এবং সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের সদস্যর থাকতেন। এছাড়া হামাসের ইন্টিলিজেন্স বিভাগসহ আরও কিছু অবকাঠামো— যেগুলো গত ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোও দখল করার দাবি জানিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনারা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা গাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই ফ্যাকাল্টি অস্ত্র উৎপাদন এবং তৈরির জন্য ব্যবহার করা হতো। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে গোলান সেনারা গাজার পার্লামেন্ট ভবন ও পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতর অবস্থান নিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে হামাসকে নির্মূল করার পরিকল্পনা সাজায় দখলদার ইসরায়েল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় প্রথমে বোমা হামলা ও পরবর্তীতে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট গতকাল সোমবার দাবি করেন, হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষ হামাসের অবকাঠামোয় লুটপাট চালাচ্ছে।
তবে হামাস দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা এখনো ইসরায়েলি সেনাদের প্রতিহত করছে।সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল