বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য খাতে উদ্বৃত্ত ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ১ হাজার ১৪৯ টাকা ফেরত দিতে যাচ্ছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ নিয়ে চিঠি দিয়েছে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার মহাব্যবস্থাপককে। ১০ হাজার ৩০ জন হাজি এ সুযোগ পাবেন। তাদের জন্য ১৬টি বাড়ি ভাড়ার কিছু অংশ উদ্ধৃত রয়েছে।
এমন বাস্তবতায় বিগত সময়ের মতো এবারও ফেরত দেয়া হচ্ছে। হিসেব অনুযায়ী বাড়ি-১ এর ক্ষেত্রে প্রত্যেক হাজি ৫৬ হাজার ৩২ টাকা, বাড়ি-২ এর ক্ষেত্রে ৫৭ হাজার ৪৮০ টাকা, বাড়ি-৩ এর ক্ষেত্রে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা, বাড়ি-৪ এর ক্ষেত্রে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা, বাড়ি-৫ এর ক্ষেত্রে ৬১ হাজার ৭৬৬ টাকা, বাড়ি-৬ এর ক্ষেত্রে ৬০ হাজার ৩৪৭ টাকা, বাড়ি-৭ এর ক্ষেত্রে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা এবং বাড়ি-৮ এর ক্ষেত্রে ৩১ হাজার ৬৭৩ টাকা করে ফেরত পাবেন। বাড়ি-৯ এ থাকা হাজিরা প্রত্যেকে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা এবং বাড়ি-১০ এর প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৭৪৫ টাকা ফেরত পাবেন।
এছাড়া বাড়ি-১১ এর প্রত্যেকে ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা, বাড়ি-১২ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা, বাড়ি-১৩ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা, বাড়ি-১৪ এর প্রত্যেকে ৫৪ হাজার ৬১২ টাকা, বাড়ি-১৫ এর প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ১০ টাকা এবং বাড়ি-১৬ এর প্রত্যেকে ২৫ হাজার ৯৩৮ টাকা করে ফেরত পাচ্ছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের হজের সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের সৌদি আরব পর্বে দেয়া প্যাকেজ মূল্যের বাড়ি ভাড়া ভিত্তিক উদ্বৃত্ত অর্থ নিবন্ধন কালে দাখিল করা বা পরবর্তীতে সংশোধিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বছর হজে সৌদি অংশে বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে যে খরচটা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি, তা থেকে উদ্বৃত্ত রয়েছে। অন্যান্য কিছু খাতেও টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে সেই টাকাটা আমরা হাজিদের ফেরত দিচ্ছি। হজ প্যাকেজের যেটা খরচ হয়েছে তা বাদ দিয়ে বাকিটা হাজিদের ফেরত দেয়া হবে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালনে সৌদি আরব যান। এসব হজযাত্রী বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইনস ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করে।