ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ খেলা সম্ভব নয়, পরিস্থিতির মুখে তাই ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। ৬ বছর পর অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।ফিরেই তার চ্যালেঞ্জ এশিয়া কাপ। তারপরও অপেক্ষা করছে বিশ্বকাপ। তবে শ্রীলঙ্কার এলপিএল খেলে ঢাকায় ক’দিন কাটিয়ে কলোম্বোর ফ্লাইট ধরছেন সাকিব। রোববার দুপুরের ফ্লাইটে উড়ে যাবেন শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপের গ্রুপ রাউন্ডে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাছে হোমে ওয়ানডে সিরিজ হারের অতীত আছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা নিজেদের মাটিতে কঠিন প্রতিপক্ষ। সে কারণেই সাকিবের আপাতত ভাবনা এশিয়া কাপ। শনিবার শের-ই-বাংলা স্টডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নে সাকিব বলেছেন-‘এখন সবকিছুতেই আমাদের ভাবনা এশিয়া কাপের। আরও ছোট করে বলতে গেলে, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে এখন ভাবছি। বিশ্বকাপেরটা পরে ভাবা যাবে। এশিয়া কাপে ভালো করলে বিশ্বকাপ ভালো হয়ে যাবে, এমন নয়।আবার এশিয়া কাপে খারাপ করলেও বিশ্বকাপে খারাপ হয়ে যাবে এমনটাও নয়।’
এশিয়া কাপে তিনবার (২০১২,২০১৬ এবং ২০১৮) ফাইনালে উঠে একবারও ট্রফির নাগাল পায়নি বাংলাদেশ। এবার বাংলােদেশ সমর্থকদের তাই স্বপ্ন এশিয়া কাপের ট্রফি জয়। তবে এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরে গ্রুপ রাউন্ড থেকে নিয়েছে বিদায়। সেই অতীতটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে হাতুরুসিংহকে। সে কারণেই আগে গ্রুপ রাউন্ডের বাধা পেরুতে চান তিনি-‘হ্যাঁ. অবশ্যই, আমাদের লক্ষ্য প্রথমে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা। আমরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কায় খেলব। তাদের হোম কন্ডিশনে তারা খুব ভালো দল। এবং তারপর, আমরা পাকিস্তানে আফগানিস্তান খেলব। সম্প্রতি, তারা এখানে খেলে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। সুতরাং, বড় চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু আমরা সেই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।’
গ্রুপ রাউন্ডে মাত্র ৩ দিনে দুটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। করতে হবে দুটি দেশ ভ্রমন। এটাকে অবশ্য বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন হাতুরুসিংহে-‘এটি অবশ্যই একটি নতুন চ্যালেঞ্জ কারণ আমরা সাধারণত দেশগুলির মধ্যে ভ্রমণ করি না এবং একটি টুর্নামেন্ট খেলি না। কিন্তু, দুই দলের জন্যই ব্যাপারটা একই। সুতরাং, আমরা সেই চ্যালেঞ্জের জন্য অপেক্ষা করছি।’
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব বাংলাদেশ দলকে। এক যুগ পর বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ এখন তার সামনে। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল করেছে হতাশ। তবে ওই দলটির তুলনায় বর্তমান দলটি অনেক বেশি শক্তিশালী। নিজের অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। এমনটাই মনে করছেন সাকিব- ‘তখন অল্প বয়স ছিল। এখন যেহেতু অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা আছে, আর এই দলটা সেই দলের চেয়ে অনেক ভালো, তাই আমাদের ভালো করার সম্ভাবনাটাও অনেক বেশি।’
দলে বেশ ক’জন নতুন খেলোয়াড় এসেছেন। তবে নতুনদের সাথে তার চেনা-জানা এবং বোঝাপড়া আছে বলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা ভাল থাকবে বলে মনে করছেন সাকিব- ‘ বেশিরভাগ নতুন খেলোয়াড়কে চিনি। অনেকে আমার ক্যাপ্টেনসিতে খেলেছে। আমিও তাদের কারো কারো ক্যাপ্টেনসিতে খেলেছি। মানিয়ে নিতে খুব একটা কষ্ট হবে না। সবাই জানে, কার কী করতে হবে। আমরা ড্রেসিংরুমে যে সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করছি, সেদিক থেকে যার যে দায়িত্ব, তা সবাই বোঝে।’ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে যারা এসেছেন, তাদের সবার জয়ের ক্ষুধা বেশি। এটা সাকিবকে মুগ্ধ করেছে-‘যেহেতু তারা বিশ্বকাপ জিতেছে, তাই তাদের মানসিকতা অন্যরকম।জেতার একটা মানসিকতা আছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সেভাবেই গড়বে ওরা।’