ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকা উত্তরে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি সবসময় সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি, সমস্যা হিসেবে দেখি না।’ বৃহস্পতিবার গুলশান ডিএনসিসি নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ইউকে’স ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের সংস্থাটির ডিএনসিসি যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ। আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জন্য একটি বিশেষ দিন। এই সমঝোতার আলোকে দীর্ঘমেয়াদে ডিএনসিসির সঙ্গে এফসিডিও কাজ করবে। প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবে সংস্থা দুটি। ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) তাদের শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে যেটি বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। মেয়র আরও বলেন, ‘পুরো বিশ্ব আজ কানেকটেড। কোনো একটি দেশ ভালো না থাকলে এর প্রভাব অন্য দেশের ওপর পড়ে। কাউকে পেছনে রেখে এগিয়ে যাওয়া যাবে না।
‘ডিএনসিসি লন্ডন শহরের পরিবহন ব্যবস্থার (টিএফএল) জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ঢাকা শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। লন্ডন শহরে বিদ্যমান বাস ফ্রাঞ্চাইজি মডেল ও ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেমের অভিজ্ঞতার আলোকে কার্যক্রম গ্রহণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আমরা ইতিমধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। যুক্তরাজ্য সরকারের সংস্থাটির সঙ্গে এই পদক্ষেপ ঢাকা শহরের যানজট কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতিমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যুক্তরাজ্যের এফসিডিওর সঙ্গে প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করবে ডিএনসিসি এবং দ্বিতীয় ধাপে ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করবে।
ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুক, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।