রাজধানীর কদমতলী এলাকায় একটি বাসায় ঢুকে ডাকাতির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বাসার মালিকের স্ত্রী রিনা আক্তার গুরুত্বর আহত হয়েছেন। রিনার স্বজনেরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আটককৃতরা হলেন, ইব্রাহিম (২৭), আক্তার (২৮), আনোয়ার (৩২) ও আলমগীর (২৮)।
আহতের ছেলে জাকির হোসেন ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, কদমতলীর শহিদনগর মেডিকেল রোডের একটি দুই তলা বাড়িতে তারা থাকেন। তার বাবা শহিদ মিয়া কুয়েত প্রবাসী। গত মাসের ২০ তারিখ আটক ওই ৪ প্রতারকের দুইজন বাড়িটির নিচ তলায় বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য আসে। সেইদিন বাসা দেখে ১ হাজার টাকা অ্যাডভান্স দিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তারা সামান্য কিছু মালামাল নিয়ে ২ জন বাসায় উঠেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির বাসার বাইরে গেলে ওই প্রতারক চক্র তার মা রিনা আক্তারকে নিচে ডেকে নেন। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ভিতরে দুইজন তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে তার মুখে স্কসটেপ দিয়ে আটক করে তারা।
তিনি আরও জানান, তার মায়ের চিৎকার শুনে তার ছোট ভাই জাহিদ নিচ তলায় নেমে মাকে খোঁজ করছিল। এই সময় দুইজন রুমের বাইরে পাহারায় ছিল।
রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তখন ওই রুমে ঢুকে সে দেখে দুই জনের হাতে ধারালো অস্ত্র মায়ের গলা কেটে রক্ত ঝড়ছে। সে ভিতরে ঢুকার পর রুমে থাকা দুইজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে একজনকে সে ঝাপটে ধরে ফেলে। এরপর তার চিৎকারে প্রতিবেশী ও আশপাশের লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ৩ জনকেই ধরে ফেলে। পরে তিনি তার মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তার মায়ের গলায় গলায় ৬টি সেলাই দেয়। এছাড়া বাম হাতের দুই আঙুলেও কেটে গেছে।
কদমতলী থানার এসআই কবির হোসেন জানান, বাসা ভাড়ার কথা বলে চক্রটি বাসায় ঢুকে এই চক্র টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করার সময় এলাকাবাসী আটক করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।