যশোরে চার দস্যুকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার অতিরিক্ত দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী এ আদেশ দেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, শহরের আরএন রোড সোনালী ব্যাংক এলাকার আশরাফ হোসেন, পটুয়াখালীর বাউফলের কাছিপাড়া গ্রামের গোলাম ফারুক মিন্টু, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগুরিয়ার চরবাগদি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাবুল ও রাজবাড়ি সদর উপজেলার খানখানাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন মামুন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ এপ্রিল বিকেলে কুষ্টিয়ার সালেক রানার প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে চার যুবক যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এরপর রাত পর্যন্ত প্রাইভেটের চালক সোলায়মান কুষ্টিয়ার বাড়িতে ফেরেন না। পরদিন জানা যায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন আছেন। সাথে সাথে তিনি যশোরে এসে চালক সোলায়মানকে শনাক্ত করেন। এরপর সোলায়মান সুস্থ হলে তিনি জানতে পারেন যারা প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়েছিলেন, তারা তাকে অচেতন করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় প্রাইভেটকার মালিক সালেক রানা বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সময় আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মঞ্জুরুল হক। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দস্যুতা ও চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত চারজনই বর্তমানে পলাতক রয়েছে।