অনেকটা নিশ্চিতই ছিল ব্যাপারটি। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। আর্লিং হলান্ডকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে এ পুরস্কার তিনি পেলেন অষ্টম। যা তার রেকর্ডকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। প্যারিসে সোমবার রাতে জমকালো অনুষ্ঠানে মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার, ব্যালন ডি’অর ২০২৩।।
সোমবার প্যারিসে সাদা শার্টের ওপর কালো কোট এবং কালো বো টাই পরে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন মেসি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ছেলে ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। লিও লিও ধ্বনির মধ্যে প্রথমে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে এবং পরে একক ছবিও তোলেন মেসি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের অধ্যায় চুকিয়ে গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাস্রে যোগ দেওয়া রোনালদো এবার ৩০ জনের তালিকাতেই ছিলেন না, ২০০৩ সালের পর যা প্রথমবারের মতো।
পিএসজির জার্সিতে নিজের সেরা ছন্দে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতেন মেসি। প্যারিসের দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মেসি ৭ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান চারটি। পিএসজি ছেড়ে এই মৌসুমে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মিয়ামিতে। সেখানে গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে মেসির। মৌসুমটিতে ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতাটুকুও ঘুচিয়েছেন ইন্টার মিয়ামি তারকা। ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে টুর্নামেন্টেরে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জিতে নিজের সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হওয়ার কথাও বলেছিলেন মেসি। তাই সবাই চেয়েছিল এবারের ব্যালন ডি’অর মেসির হাতেই উঠুক। সেটাই সোমরাব রাতে সত্যি হয়েছে।
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন দ’র দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় সাংবাদিকদের ভোটে।
কে কোন পুরস্কার জিতছেন:
বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়- লিওনেল মেসি
বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়- আইতানা বোনামাতি
বর্ষসেরা ক্লাব (পুরুষ)- ম্যানচেস্টার সিটি
বর্ষসেরা ক্লাব (নারী)-বার্সেলোনা
লেভ ইয়েশিন ট্রফি (সেরা গোলরক্ষক)- এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
জার্ড মুলার ট্রফি (সেরা স্ট্রাইকার)- আর্লিং হলান্ড
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড (দাতব্য কাজে সম্পৃক্ততা)- ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
কোপা ট্রফি (অনূর্ধ্ব ২১ বছর বয়সী সেরা খেলোয়াড়)- জুড বেলিংহাম