ওপেনার ডেভিড মালানের সেঞ্চুরির পর মঈন আলির ঘুর্ণিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। গতরাতে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। এতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে মালান ১২৭ রান ও মঈন ৪ উইকেট নেন। লর্ডসে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন জনি বেয়ারস্টো ও মালান। ১৩ রান করে ফিরেন বেয়ারস্টো। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন মালান। জোর রুটের সাথে ৭৯, হ্যারি ব্রুকের নিয়ে ৩২, জশ বাটলারের সাথে ৫৬ ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৪৮ রান যোগ করেন মালান। এদের মধ্যে মালান ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রুট ২৯, ব্রুক ১০, বাটলার ৩৬ ও লিভিংস্টোন ২৮ রানে ফিরেন। সতীর্থদের সাথে জুটি গড়ার পথে ২১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন আগের ম্যাচে ৯৬ রানে আউট হওয়া মালান। ৪১তম ওভারে দলীয় ২৪৩ রানে মালানের আউটের পর লোয়ার অর্ডারে স্যাম কারান ২০, ডেভিড উইলি ১৯ ও ব্রাউডন কার্স অপরাজিত ১৫ রারন নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১১ রান পায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র ৪ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে এবারও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। টপ ও মিডল অর্ডারে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৮৮ রানে চতুর্থ ও ১৪২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। স্বীকৃত ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর লড়াই করেছেন সাত নম্বরে নামা রবীন্দ্র। মারমুখী ব্যাট করে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলের হারের ব্যবধান কমান রবীন্দ্র। ৩৯তম ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে রবীন্দ্র ফিরলে ২১১ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যন্ড। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৬১ রান করেন রবীন্দ্র। ইংল্যান্ডের মঈন ৫০ রানে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন মালান। সিরিজ হারের চেয়ে নিউজিল্যান্ডের বড় দুঃশ্চিন্তা টিম সাউদির ইনজুরি। ইংল্যান্ড ইনিংসে ১৪তম ওভারে ক্যাচ নিতে গিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুলের হাড় সরে গেছে এবং চিড় ধরেছে পেসার সাউদির। এমন ইনজুরিতে বিশ^কাপে অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সাউদির। ওয়ানডের আগে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছিলো ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।