• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
                               

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে : সিপিডি

রিপোর্টারঃ / ১৫৬ বার ভিজিট
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো মালিকানা পরিবর্তনের পর দুর্বল হয়েছে। সেখানে গোষ্ঠীগত দুঃশাসন চলছে। নিজেদের স্বার্থেই সেখানে অলিগার্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে অবলোকনকৃত ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। আর কোনো পুনঃতপশিলকৃত ঋণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ফেরত আশা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংক হাতের বিনিয়োগ কমেছে। এ জন্য তারা সরকারি বিভিন্ন বিলবন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা দেখাচ্ছে। ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ তুলতে না পারে তখন তারা লোকসানে পড়ে। ওই সময় যদি সুদের হার বাড়তে থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। সিপিডির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের ক্যাশ হোল্ডিংস কমেছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো টাকা সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে ক্রমান্বয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সুশাসন জবাবদিহিতার অভাব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক হাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী হঠাৎ করেই সরকারি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ। এখনো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, সরকারি অ্যাসিড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা হবে। এসব কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। এরপর ব্যাঙ্গালোর খারাপ দিনগুলো কিনে নেবে এ কোম্পানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওই কোম্পানি যে ভালো হবে তার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা? ওই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অর্থ তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেওয়া হবে। যদি ব্যাংকগুলো দেখে খারাপ ঋণগুলো এভাবে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে তারাও এই সুযোগ নিতে চাইবে। এটা একটা সাইকেল তৈরি হবে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বেও এ সেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্থের জোগান নেয় বন্ড মার্কেট থেকে। কিন্তু আমাদের এখানে তো বন্ড মার্কেটই নেই।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (দুপুর ২:১৭)
  • ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ২২
  • ৫৪
  • ৫৯
  • ৬৩৯
  • ১,৭১৩
  • ২৫,৩১৪
  • ৩৪,২০৫