আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের আবাস রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ করি সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন’। বিশ্ব বাঘ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আজ শনিবার বন ভবনের হৈমন্তি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি। বিশেষ অতিথি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এ দিবসটির সূচনা হয়। বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হলেও বাঘ টিকে আছে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশে বাঘের ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব দেশে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হয়। ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা ১২ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। এরমধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সে লক্ষ্য থেকে দূরে আছে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘ ছিল। ২০০৪ সালে জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। হঠাৎ করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসের দিকে বাঘ গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।