অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন, হাইজিন, বায়ু ও সীসা দূষণ বছরে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যুর কারণ। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস’ (সিইএ) নামে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ অতিরিক্ত দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্রপীড়িত জনগোষ্ঠী, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু, বয়স্ক ও নারীদের। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলা জরুরি। পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের একার পক্ষে আর্থিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঋণ নেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের ওপর একধরনের চাপ। পরিবেশ দূষণ রোধ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ভবিষ্যতে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ হাতে নেবে সরকার।