বিক্ষোভে উত্তাল আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের প্যানেল স্কয়ার। একসঙ্গে পাঁচজনকে ছুড়িকাঘাতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। ভাংচুর করেন পুলিশের গাড়িসহ বেশকিছু যানবাহন ধরিয়ে দেন আগুন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাবলিন শহরে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা পুলিশ।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন দোকানে লুটপাটের কথাও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ডাবলিন শহরে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা পুলিশ। ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে। ডাবলিনের একটি স্কুলের সামনে হাঁটতে থাকা ছাত্র ও অভিভাবকদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহ্তদের উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের নেয়া হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটকও করেছে পুলিশ।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলাকারীর জাতীয়তা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও দেশটির পুলিশ শুধু জানায়, হামলাকারী একজন ৫০ বছর বয়সী। দেশটির পুলিশ প্রধান ড্রু হ্যারিস এ সহিংসতার জন্য অতি ডানপন্থী মতাদর্শের উন্মাদ দলকে দোষারোপ করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ল- তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আয়ারল্যান্ড থেকে বিবিসির সাংবাদিক জানিয়েছেন, দাঙ্গাকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাবলিনের রাস্তা এখন শান্ত। দেশটির তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তারা এ ঘটনার তদন্ত করছে।