নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি একটা বড় দল, নির্বাচনের বাইরে আছে। তারা যদি অংশগ্রহণ করে, তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেয়া যাবে। তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসি কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় আমন্ত্রণ জানালে ২৬টি দল আসে, ১৮টি দল আসে না। কারা নির্বাচনে এলো আর কারা এলো না, এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এজন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ এর মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন করার। ভোটাররা ভোট দিতে এলেই নির্বাচন সফল হবে। ‘ভোটারের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটে জনগণ যদি যোগ দেয় তবে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না। দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।’
নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। ওই সময়ে অনলাইন, আইপি টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন অপপ্রচার চালানো না হয়, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান। বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, যা আগে ছিল না। ভোটের দিন নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক থাকবে, তবে গুজব ছড়ানো থেকে সাবধান থাকতে হবে। যদিও মূলধারার গণমাধ্যম এসব করে না।’সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবী চন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।