কালিগঞ্জে সাইকেল চোর শফিকুল ও জাকির নামে দুই চোরকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ১৪ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলার ৬নং নলতাইউনিয়নের মোবারকনগর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক শফিকুল ইসলাম দেবহাটা থানার পারুলিয়া জেলে পাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে। আর অন্যজন কালিগঞ্জ থানার ঘোনা কাসেমপুরের মো. জাকির। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নলতা মোবারক নগর বাজারের স্বর্ণের দোকান মোহাম্মাদীয়া জুয়েলার্স থেকে বেশ কিছুদিন আগে একটি সাইকেল চুরি হয়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে চোরকে সম্পূর্ণরূপে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, এই চোর দীর্ঘদিন নলতায় যাওয়া আশা করেন, বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে চা পান করেন। মোহাম্মাদীয়া জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ ও তার বড় পুত্র মো. আহছান হাবিব নিকটবর্তী কয়েকটি দোকান এবং চায়ের দোকানে এই চোরের ছবি দিয়ে চোর ধরার পরিকল্পনা ফাঁদ তৈরি করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চা বিক্রেতা মো. ফারুক উক্ত চোরকে নলতায় দেখতে পান। চা বিক্রেতা ফারুক কৌশল অবলম্বন করে তোর কে চায়ের দোকানে বসিয়ে রেখে, বাজার কর্তৃপক্ষ ও দোকান মালিকের কয়েকজনকে খবর দেন। পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া যায় ব্যক্তিটি আসল সাইকেল চোর। বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন এবং তার কাছে যে সাইকেলটি ছিল সেটিও তিনি ২ ঘণ্টা আগে সাতক্ষীরা শহর থেকে চুরি করে নিয়ে এসেছেন। নলতা মোবারকনগর বাজার কমিটির সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকনের উপস্থিতিতে চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল, চোরের একজন সহযোগী থলেদার জাকিরের কথা স্বীকার করেন তিনি। ঘোনা কাসেমপুরের জাকিরের বাসায় মেলে চুরিকৃত আরো ৮টি সাইকেল। চোর ধরার এমন অভিনব পদ্ধতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। চোরদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।