সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হিজবুল্লাহ বাশার বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় দহাকুলা গ্রামের হাতেম আলী সরদারের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৩৫), ছবেদ আলী সরদারের ছেলে মো. হেলাল (২৯), গয়জুদ্দীন সরদারের ছেলে মো. হযরত (৩৫), মৃত মোজাহার আলী কবিরাজের ছেলে হাতেম আলী (৬০), শাহাজুদ্দীন সরদারের ছেলে সদর উদ্দীন (৫৫)সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে হিজবুল্লাহ বাশারের বাড়ীতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় হিজবুল্লাহ বাশার প্রতিবাদ করায় মো. আব্দুল্লাহ লাঠি দিয়ে তার মাথায়, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে জখম করে। হিজবুল্লাহ বাশারের পিতা হাফেজ শহিদুল ইসলাম, চাচা আজমল হোসেন (৪০), মনিরুল ইসলাম (৪৭) ও আনারুল ইসলাম (৫৫) ঠেকাতে আসলে তাদেরও মারপিট করে। এক পর্যায়ে মো. হেলাল হিজবুল্লাহকে কাদায় ফেলে দিয়ে গলাটিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে এবং খুন, জখম ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় আজিজুল ইসলাম, কুরবান আলীসহ স্থানীয় লোকজন আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
হাফেজ শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি এই চাতাল করি। তিন চার মাস আগে আমিন এনে জমির মাপজরিপ করা হয় এবং সীমানা পিলার বসানো হয়েছিল। আজ সেখানে দেখলাম সেখানে সীমানা পিলার নেই। এব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে এই মাপ জরিপ আমরা মানি না। এসময় তারা দা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে এবং স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে আমরা সাতক্ষীরা থানায় অভিযোগ করেছি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দহাকুলা গ্রামের হাতেম আলী সরদার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুধু ধাক্কা ধাক্কি ও হাতা হাতি হয়েছে, তেমন কিছু হয় নি।