দেরিতে হলেও ইলিশের দেখা পেয়েছেন জেলেরা। ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ। এতে এ মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছে মৎস্যবিভাগ। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় মুখে হাঁসি ফুটেছে জেলেদের। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ইলিশের আড়তগুলোও।
জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। নদী ও সাগরে ইলিশের এমন প্রাপ্যতা অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলেরা।
জেলেরা জানান, সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূল জুড়ে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। এতেই জালে উঠছে ব্যাপক ইলিশ। এতে ঘাটে ঘাটে বেড়েছে ব্যস্ততা। সরগরম হয়ে উঠছে আড়ত। বেড়েছে কেনাবেচা।
ভোলার চরফ্যাশনের সাগর উপকূলের স্লুইস ঘাট, মাদ্রাস ও সামরাজসহ বিভিন্ন ঘাটে জেলে ও মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা দেখা যায়। কেউ বরফ ভাঙছেন কেউ ঝুড়ি বা ককশিটে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন। কেউ ব্যস্ত কেনাবেচা নিয়ে।
মনির, ইলিয়াস, লোকমান ও সিরাজ মাঝি সহকয়েকজন জেলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত ৩ দিন ধরে মেঘনা ও সাগর মোহনায় ইলিশ ধরা পড়ছে। এ অবস্থা থাকলে তাদের বিদ্যমান সংকট দূর হবে। অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেগুলো মিটিয়ে দিতে পারবেন।
অন্যান্য জেলেওরা বলেন, যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে তাতে বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে লাভবান হওয়া যাবে। আড়তদাররা মনে করছেন, কয়েকদিন পর আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ। তিনি বলেন, বৃষ্টি বাড়ায় সাগর থেকে নদীতে চলে আসছে ইলিশ। ফলে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে। এতে করে জেলেদের সব সংকট কেটে যাবে। উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত থাকলে জেলেদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।