গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে রবিউল ইসলাম (২৮) নামে এক জামাতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। নিহত রবিউল ইসলাম টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদনগর এলাকার তুহিন তালুকদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার বালুঘাট গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে ও নিহত রবিউলের শ্বশুর মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৫), তার ছেলে হুমায়ুন কবির (১৯), নিহতের স্ত্রী মোসা. কারিমা (২২) ও শরীয়তপুরের নড়ীয়া থানার আইটপাড়া গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে মো. লিটন (৪৬)। তারা সবাই পূবাইল থানার সাতানিপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে পূবাইলের সাতানিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের মেয়ে কারিমাকে বিয়ে করেন রবিউল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হতো। গত ৫ মে রোববার রাতে টঙ্গী থেকে এসে রবিউল তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে আবারও ঝগড়া হয় রবিউলের। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রবিউলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা রবিউলকে বৃহস্পতিবার টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখান থেকে শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবিউল ইসলাম মারা যান।
পূবাইল থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, মৃত রবিউলের বাবা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। শনিবার সকালে নিহত রবিউলের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক ও প্রতিবেশী লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।