বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বেগম মতিয়া চৌধুরী, এমপি।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান, এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এবং বর্তমানেও তাদের মতো কিছু কুলাঙ্গার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বিভিন্নভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ঘাতকদের হত্যার কারণে বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা নিজে দেখে যেতে পারেননি কিন্তু তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সে কাজ দৃঢ়ভাবে করে যাচ্ছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করে দেখিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেন দেশবাসীকে এই বিশাল উন্নয়ন কর্মে জননেত্রীর সঙ্গে একাত্ম হতে।
বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, স্বাধীকার আন্দোলন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় জাতির পিতার অতুলনীয় এবং একক ভূমিকা বিস্তৃত পরিসরে অনুধাবন ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে ধারাবাহিক স্বাধীকার আন্দোলনের পথ ধরে এদেশ স্বাধীন হয়, যা শুধু ঘোষণা-সর্বস্ব ছিল না। একজন বলিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকায় তিনি ছিলেন দক্ষ, দূরদর্শী ও সময়নিষ্ঠ। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান, এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটি জীবন দিয়ে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন, কিছু বিপদগামী খুনি বঙ্গবন্ধুসহ অন্যদের ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশের অগ্রগতিকে স্থবির করার চেষ্টা করেছিল। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে।
আলোচনা সভার মুখ্য আলোচক বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু গবেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ৩২ বছরের সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে দেশকে অসাম্প্রদায়িক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তবু এখনো বিকৃত ও ভুল ইতিহাস রয়ে গেছে যার সুযোগ নিতে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মেসবাহুল ইসলাম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। ওই আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক কৃষি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গবেষক, কৃষি বিজ্ঞানী, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকরা, কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।