প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশে সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে বহু নাটকীয় ঘটনা ঘটলেও কারামুক্ত হতে পারেননি তিনি। তবে এতদিন পর আবারও ইমরানের কারামুক্তির বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন পিটিআই নেতারা। তারা বলছেন, ইমরান খান চলতি মাসেই জেল থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা লতিফ খোসা বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে এই এপ্রিলে মুক্তি দেওয়া হবে।’ লতিফের এমন কথার পর পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি খান থেকে শুরু করে দলের একাধিক নেতা একই ধরনের দাবি করেছেন।
কোনো ধরনের সমঝোতার অংশ হিসেবে ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লতিফ বলেন, ইমরানের কারামুক্তিকে কোনো সমঝোতার ফল বলা অযৌক্তিক হবে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তিনি শুধু দেশে সংবিধানের অগ্রাধিকার চান। ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয় ইমরানের পিটিআই জোট সরকার। তবে পিটিআইয়ের অভিযোগ, ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অন্যান্য বিভিন্ন অভিযোগে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। যদিও এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায়ের করা হয়েছে বলেই দাবি করে আসছেন ইমরান ও তার দল পিটিআই। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
তবে চলতি মাসের শুরুতে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাজা বাতিলের আপিল শুনানির তারিখ ঈদের পর ধার্য করেছেন আদালত।