• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
                               

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মনোভাব সরকারের নেই : আরাফাত

রিপোর্টারঃ / ১৭৭ বার ভিজিট
আপডেটঃ রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা নেই সরকারের। যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা থাকত তাহলে দেশে সংবাদমাধ্যম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হতো না। শনিবার (০১ জুন) গুলশান ক্লাবে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত সংবাদপত্রের প্রকাশনার ৫০ বছর ও ২৫ বছরপূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আরাফাত বলেন, দেশ গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন। সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা থাকত, তাহলে তারা সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়তে দিত না, কারণ বেশি সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন। তিনি গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান। আরাফাত আরও বলেন, আমরা সমালোচনা গ্রহণের জন্য সবসময় প্রস্তুত এবং আপনার মতামত শুনতে ইচ্ছুক। আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি জানি না তারা কীভাবে এটি তৈরি করেছে। আমি র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য ইনপুট হিসাবে নেওয়া তথ্যগুলো দেখেছি। রিপোর্টে আমি অনেক ভুল তথ্য পেয়েছি। তিনি ২০২৩ সালের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ভুল তথ্য চিহ্নিত করে আরএসএফকে একটি চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, আরএসএফ সেসব স্বীকার ও সংশোধন করেছে। আরাফাত বলেন, আমরা জানতে পেরেছি (আরএসএফ রিপোর্টে) স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি সারা দেশের চিত্র হতে পারে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাই সারা দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন। কিন্তু এ বিশেষ গবেষণায় তা অনুসরণ করা হয়নি। এটা কি সম্ভব যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ?

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের কাজ করছি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সংবাদের ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালিক প্রমুখ। নোয়াব প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্ণ করার জন্য দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদী ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং ২৫ বছর পূর্ণ করার জন্য প্রথম আলো ও মানবজমিনকে সম্মাননা প্রদান করেছে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (সকাল ১০:১৯)
  • ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ৩১
  • ৫৯
  • ৬১৬
  • ১,৬৯০
  • ২৫,২৯১
  • ৩৪,১৮২