পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যেসব কথা বলছে সেগুলো ভাঁওতাবাজি। তিনি বলেন, বড় লোকের দেশগুলোর আছে খালি ব্যবসা। আর সেজন্য তারা চাপ দেয়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোমেটস ম্যাগাজিনের এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরের প্রসঙ্গ তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা শুধু উপদেশ দেয়, যা আপনারা (গণমাধ্যম) পছন্দ করেন। নির্বাচন, অমুক-তমুক…এবারে এগুলো নিয়ে কোনো আলাপ করেনি। একবারে তারা বলেছে, ইন্দো-প্যাসিফিকে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। তারা শুধু উপদেশ দেবে না বা ভয় দেখাবে না, তারা টাকা নিয়ে আসবে। মোমেন বলেন, তারা (ইইউ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৩০০ বিলিয়ন ইউরো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য খরচ করবে। আমরা প্রায় এক বিলিয়ন ইউরো সই করেছি। এরমধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন হচ্ছে ঋণ, সেটা আমরা ইউরোপীয় ইনভেস্ট ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমেরিকাকেও বলেছি, আপনারা ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমাদের টাকা দরকার। আপনারা টাকা নিয়ে আসেন। আপনারা শুধু উপদেশ নিয়ে আসেন, উপদেশে আমাদের মন ভরে না। আপনারা যদি চায়নাকে হারাতে চান, তাহলে আপনারও চাইনিজদের মতো টাকার ঝুড়ি নিয়ে আসেন এবং সহনীয় প্রস্তাব নিয়ে আসেন। আহাম্মকি প্রস্তাব নিয়ে আসলে…।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ বিলিয়ন তহবিল নিয়ে আসার চেষ্টা করতেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেক দেশ প্রোপাগান্ডা করছে। উদ্দেশ্য জিনিস বিক্রি করা, ব্যবসা করা। আমরা বলেছি, যুদ্ধতে আমরা নেই। আমরা বলেছি, বোয়িং কিনতে চাই। আর যায় কোথায়! বড়লোকের দেশরা খুব চাপ দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বলছে, বোয়িংয়ের দাম বলছে অর্ধেক করে দেবে। খালি ব্যবসা। বাকি যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, এগুলো ভাঁওতাবাজি। প্রেশার দেওয়ার জন্য এগুলো করছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে ইইউর পক্ষ থেকে মানবাধিকার প্রসঙ্গ তোলা হয়নি বলেও জানান মোমেন। তিনি বলেন, ওনারা মনে হয়, এ ব্যাপারে লজ্জিত।