• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
                               

কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

রিপোর্টারঃ / ৪৩৩ বার ভিজিট
আপডেটঃ বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

বন্ধুদের দুষ্টুমি, আড্ডাকে কেন্দ্র করে শ্রেণিকক্ষে বাইরে থেকে তালা দেওয়ার ঘটনায় আশিকুর রহমান পারভেজ নামে এক নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরিয়ান হাবিবুর রহমান কর্তৃক বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমে হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ২৫ মার্চ সকাল ১০ টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। গুরুতর আহত স্কুল শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান পারভেজ উপজেলার মুকুন্দ মধুসূদন পুর গ্রামের আলামিন গাজির পুত্র। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা আল আমিন গাজী ওই লাইবেরিয়ান হাবিবুর রহমানের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান । অভিযোগের সূত্র এবং ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পিতা আল আমিন গাজী সাংবাদিকদের জানান মঙ্গলবার সকাল আনুমান ১০ টার আগে থেকে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীরা কোন শিক্ষক না আসায় বাইরে মাঠে, শ্রেণীকক্ষে আড্ডা দুষ্টুমি খেলাধুল করছিল। এরমধ্যে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান এবং তার সহপাঠি তরিকুল ইসলাম দুষ্টুমি করতে করতে একটি রুমে দৌড়ে প্রবেশ করে ওই রুমে আগে থেকে অষ্টম শ্রেণীরা ১ ছাত্রী পড়াশোনা করছিল। বাকি বন্ধুরা দুষ্টুমি করে ওই রুমের বাইরে থেকে শুটকিনি দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এরমধ্যে ওই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান বন্ধ কাটিগ্রামের শওকত গাজীর পুত্র হাবিবুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ স্কুলে উপস্থিত হয়ে দরজার ছিটকিনি দেওয়াকে কেন্দ্র করে লাইব্রেরিয়ান হাবিবুর রহমান ছিটকিনি খুলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান পারভেজকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় ওই শিক্ষার্থী তার বাবাকে জানালে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক মমতাজ হোসেনকে জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের মমতাজ হোসেন তার পিতা আলামিনকে বেশি বাড়াবাড়ি করলে স্কুল থেকে ছাড় পত্র দিয়ে তাড়িয়ে হুমকি দেয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে দেখালে তিনি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান হাবিবুর রহমানের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোনে কথা না বলে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলেন তবে বিষয়টি সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে নিয়ে শুক্রবারে বসার কথা জানান। ঘটনার আরো সত্যতার জানা জন্য ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল করিমের নিকট একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকী বিল্লার নিকট একাধিকবারফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (ভোর ৫:১৫)
  • ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Our Website Visitors Summary

  • ১৯
  • ৫৯
  • ৬০৪
  • ১,৬৭৮
  • ২৫,২৭৯
  • ৩৪,১৭০