কালিগঞ্জে যুবলীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধসহ শতাধিক মানুষ একই সূরে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ দাবী করেন। থানায় মামলা হলেও আসামীরা এখনো রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাঠি গোরস্থান মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম ঢালী। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ কর্মকার, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি ভোলানাথ কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক আবু আসলাম লালু, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি কুতুবউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, কৃষক লীগের ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল কাদের, উপজেলা ভূমিহীন আন্দোলন কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা হাফেজ নেছার উদ্দিন, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ফজর আলী গাজী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রনি হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত হোসেন শুভ, নুরুল ইসলামের সহধর্মিনী হালিমা খাতুন সহ আরো অনেকে। উল্লেখ্য যে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় বন্দকাটি গণগোরস্থানের পাশে সাইফুল ইসলামের চায়ের দোকান থেকে নুরুলকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাক্কারের বাড়ির পাশে নিয়ে যাওয়ার পর আসামী ওলি, রহমান. রাইসুল মোড়ল, রায়হান মোড়ল, মনিরুল ইসলাম খোকনসহ কয়েকজন পিছন দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ি মাথায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নুরুলকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।