সাতক্ষীরায় এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারপিট করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বেলা ১০টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপর তিন রাস্তার মোড়ে এঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ী সেলিম হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন (৪২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে। তিনি ব্রহ্মরাজপুর বাজারের মেসার্স জাকিয়া বস্ত্রলায়ের মালিক।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) সকাল ৮টার দিকে দোকান খুলে ছোট ভাই মোঃ আমিনুল ইসলাম ডালিমকে দোকানে বসিয়ে রেখে মালামাল ক্রয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি মটরসাইকেলে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পতিমধ্যে বেলা ১০টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপর তিন রাস্তার মোড়ে পৌছালে রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে কাজল (৪০) ও মৃত কায়েম আলী সরদারের ছেলে আব্দুল বারী সরদার (৫৫) তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় তারা সেলিমকে মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করলে সে রাস্তার উপর পড়ে যায়। আসামীরা লোহার রড দিয়ে তার মাথায়, বুকে, পিটে ও পায়ে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত রজখম করে। তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সেলিমের বাম পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। একপর্যায় তার প্যান্টের পকেটে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় আসামীরা তার পকেটে থাকা ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের অন প্লাস টার্স মোবাইল ফোনটি নিয়ে তাকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এসময় সেলিমের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎস্যক ডাঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ফিজিক্যিাল এসাল্ট নিয়ে বেলা ১১টার দিকে সেলিম হোসেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রযেছে। এছাড়া তার বাম পায়ে হাটুর নিচে মারাত্মকভাবে হাড় ভেঙ্গে গেছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালের অর্থ সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় আহত সেলিম হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইদুল ইসলাম জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ এখনো আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।