আকাশে-বাতাসে পূজা-পূজা গন্ধ। উমা আসছেন। নতুন জামা-জুতো, জিভে-জল-আনা খাবার, প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ঘোরা, নতুন গান, নতুন প্রেম, সেই সঙ্গে নতুন-নতুন ছবি দেখা। এবার পূজায় চারটি ‘হেভিওয়েট’ বাংলা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে একটি পরিচালকদ্বয় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘রক্তবীজ’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায় ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিনেমাতে একেবারে অন্য অবতারে দেখা মিলবে মিমির, তিনি এসপি সংযুক্তা মিত্র। সাদা শার্ট, ব্লু ডেনিম-এ বাইকে সওয়ার মিমি…এহেন ‘লুক’-এ এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি সুন্দরীকে। বলা বাহুল্য, মিমির চরিত্রে রয়েছে মারকাটারি অ্যাকশন-ও।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মিমির সমসাময়িক অনেক নায়িকাই বিবাহিতা। একসঙ্গে সামলাচ্ছেন সংসার, সিনেমা! কিন্তু মিমি এখনও ‘সিঙ্গল’! স্বাভাবিকভাবেই ফ্যানেদের মনে তীব্র কৌতূহল, কবে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন ‘গানের ওপারে’-তারকা?
এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ মিমিই! জানালেন, বিয়ে একটা সোশ্যাল ট্যাবু। একজন মেয়ে আর পাঁচটা মেয়ের মত সাধারণ হোক, কী রুপালি দুনিয়ার অভিনেত্রী, আশপাশের সমাজ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, বিয়েটাই জীবনের আলটিমেট লক্ষ্য। আমাকেও বাকি আর পাঁচটা মেয়ের মত সবসময় এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়! কবে বিয়ে করছি? উত্তর হল, বিয়ে অবশ্যই করব! কিন্তু পাত্র কই?
এখানেই শেষ নয়! মিমি মজা করে বলেন, কেউ কি আমার জন্য সঠিক পাত্রের সন্ধান দিতে পারবেন? আমার বিয়ে নিয়ে সকলের এত মাথাব্যথা! কিন্তু পাত্রেরই তো ঠিক নেই! যারা এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন, তারা আগে ছাদনাতলায় যাক, চার হাত এক হোক। আমার যেহেতু কোনও পাত্র ঠিক করা নেই, তাই এই মুহূর্তে বিয়ের প্রশ্ন উঠছে না। যে মুহূর্তে বিয়ে ঠিক হবে, আমি সকলকে জানিয়ে দেব। এটা লুকোচুরির বিষয় নয়।
খানিকটা খুন্ন হয়েই মিমি বলেন, বিয়েটা আমার জীবনের খুব ব্যক্তিগত একটা বিষয়, সিদ্ধান্তটাও খুব ব্যক্তিগত হবে। আমি যখন কারও ব্যক্তিগত জীবনে নাক-গলাই না, তাহলে মানুষের আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত ভাবনা কেন? যেহেতু আমি সেলিব্রিটি, তাই আমার জীবন নিয়ে দর্শকের উৎসাহ বেশি। কিন্তু আমি ‘হ্যাপিলি সিঙ্গল’ অবশ্যই ‘রেডি টু মিঙ্গল’। আপাতত আমার চারপেয়ে সন্তানদের নিয়ে বেজায় খুশি আছি।